বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে মিছিল নিয়ে আসছেন নেতা-কর্মীরা
প্রথম পাতা » জাতীয় » বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে মিছিল নিয়ে আসছেন নেতা-কর্মীরা
বাংলার-পৃথিবীঃ দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বরিশাল সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে তিনি বরিশাল সফর করছেন। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র বরিশাল নগরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে আজ সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমবেত হতে শুরু করেছেন। মিছিলে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেতা-কর্মীরা নানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভা মঞ্চ তৈরির কাজ চলেছে। নগরজুড়ে সাজসজ্জাসহ নানা কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এটা হবে বরিশাল বিভাগে এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশ। সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এই জনসভায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার সংসদীয় সব কটি আসনের দলীয় প্রার্থীদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই নগরের সর্বত্র ব্যাপক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।দলীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ২৩ ডিসেম্বর বরিশালে জরুরি বর্ধিত সভা করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। এতে ছয় সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করে আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে প্রধান করা হয়। এ ছাড়া বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দারকে কমিটির সদস্য করা হয়।প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরকে বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। বসানো হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী। নগরের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, অলিগলিসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য সব চলার পথ পরিচ্ছন্ন ও সংস্কার করা হয়েছ। আজ বেলা তিনটায় নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সভাস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানকে সাজানো–গোছানোর কাজ প্রায় শেষ।জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, মঞ্চের সামনে তিনটি স্তর করা হয়েছে। প্রথম স্তরে মঞ্চ। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গে বরিশালের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বসবেন। এরপর দ্বিতীয় ধাপে থাকবেন বরিশাল বিভাগ ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও অতিথিরা। তৃতীয় ধাপে নারী ও পুরুষের দুটি ভাগে প্রায় ২০ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে।দলীয় সূত্র জানায়, সবশেষ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু উদ্যানেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জেলায় জনসভা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বরিশালের এই সফর। পথে তিনি গৌরনদী, উজিরপুরসহ কয়েকটি স্থানে পথসভা করতে পারেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে গঠিত কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি নির্বাচনী জনসভা। তাঁর সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বরিশালে আসছেন। এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা অনেক, তবে প্রধান দাবি থাকবে ভোলার গ্যাস বরিশালে এনে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা।