শুষ্ক ত্বকের সমস্যা

প্রথম পাতা » ফিচার » শুষ্ক ত্বকের সমস্যা


শুষ্ক ত্বকের সমস্যা

বাংলার-পৃথিবীঃ শীতের সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে যাওয়ার কারণে ত্বক থেকে পানি শুষে নেয় এবং এর প্রভাবে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। আরও নানা কারণে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসার পরিভাষায় এটিকে জেরোসিস বলা হয়ে থাকে। এটি এমন একটি সমস্যা, যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সীই আক্রান্ত হতে পারেন। পা ও পেটের উভয় দিক আক্রান্ত হয় বেশি। তবে অন্য স্থানেও এ পরিবর্তন হতে পারে।

যেসব কারণে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে

আবহাওয়া : ঋতু পরিবর্তনে বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে গেলে ত্বক থেকে পানি ও তেল শুষে নেয়। এ কারণে ত্বক রুক্ষ ভাব ধারণ করে। শীতকালে শুষ্ক ত্বকের প্রবণতা এ কারণেই হয়ে থাকে। তা ছাড়া ব্যবহৃত রুম হিটার, এয়ারকন্ডিশনারের কারণেও রুমের ভেতর জলীয় বাষ্প কমে গিয়ে ত্বক শুষ্ক হতে পারে।

বয়স : সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সীদের ত্বকের ইপিডার্মিস পাতলা হতে শুরু করে এবং ত্বকের পানি ধারণ ও তেল নিঃসরণ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হতে শুরু করে। যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব, তারাই বেশি আক্রান্ত হন। নারীদের মাসিক বন্ধ হওয়ার পর এ সমস্যা প্রকাশ পেতে থাকে।

সূর্যালোক : সরাসরি সূর্যালোকের কারণে যে কোনো ঋতুতেই ত্বক শুষ্ক হতে পারে। কারণ সূর্যের উত্তাপে ত্বকের পানি ও নিঃসরিত তেল শুকিয়ে ত্বক শুষ্ক হয়।

সাবান ও ডিটারজেন্ট : সাবান, ক্লিনজার ও ডিটারজেন্টে ক্ষার থাকে। ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করার সময় ক্ষার ত্বকের পানি ও তেল শুষে নেয়। ফলে ত্বক শুকিয়ে যায়।

রোগজনিত কারণ : শরীরে কিছু রোগে ত্বকের পানি ধারণ এবং তেল নিঃসরণ ক্ষমতা কমে যায়। ত্বক রুক্ষ রূপ নেয়। এটপিক ডার্মাটাইসিস, সোরাইসিস, ইকথায়োসিস ইত্যাদি রোগে ত্বক রুক্ষ হয়।
ওষুধ : কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্বক শুষ্ক হতে পারে।

যেভাবে মুক্ত থাকবেন

lকুসুম কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ে গোসল শেষ করুন। কোমলভাবে সারাশরীর পানিতে ধুয়ে ফেলুন; কখনোই শরীর ঘষবেন না।

lযতটা সম্ভব কম ক্ষারীয় সাবান ও ক্লিনজার ব্যবহার করুন।

lগোসলের পর শরীরে ময়েশ্চারাইজার, যেমন– পেট্রোলিয়াম জেলি, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করুন।

lসাবান, ক্লিনজার ও ময়েশ্চারাইজার নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তারপরও যদি শুষ্ক ও রুক্ষতা থেকে পরিত্রাণ না পান, তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।

লেখক : ডার্মাটোলজিস্ট।