চীনা গবেষকদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিস্ময়কর সাফল্য

প্রথম পাতা » ফিচার » চীনা গবেষকদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিস্ময়কর সাফল্য


কৃত্রিম লিভার প্রতিস্থাপনে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে চীন।ফাইল ছবি

চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রতিনিয়ত বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়ে আসছে চীনা গবেষকরা। এবার তারা কৃত্রিম লিভার আবিষ্কার করেছেন। স্টেম সেলভিত্তিক ‘কৃত্রিম লিভার’ প্রতিস্পানের জন্য ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে চীন। বিশ্বব্যাপী লিভার জটিলতায় ভুগছেন এমন লাখ লাখ রোগীর জন্য এই আবিষ্কার আশার আলো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা একদল গবেষক এই কৃত্রিম লিভার তৈরি করেছেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এটি শরীরের বাইরেই কাজ করতে পারে। সাধারণত লিভারে সঞ্চালিত ডিটক্সিফিকেশন তথা জীবাণুমুক্তকরণ ও প্রোটিন সংশ্লেষণের মতো কার্য সম্পাদন করে।

‘কৃত্রিম লিভার’ কীভাবে কাজ করবে

গবেষকরা বলছেন, বায়োরিঅ্যাক্টর সিস্টেম যেভাবে কাজ করে তা বেশ আকর্ষণীয়। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, বায়োরিঅ্যাক্টর সিস্টেমের মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়, যেখানে একটি ফাঁপা ফাইবার ঝিল্লি স্টেম সেল ও প্রয়োজনীয় পদার্থ প্রয়োগ করে।

যেসব অভ্যাসে লিভারের ক্ষতি

এই পদার্থগুলো টিস্যু পুনরুৎপাদন ও প্রদাহের ফলে সৃষ্ট লিভারের ক্ষতি দমন করতে সাহায্য করার জন্য রোগীর রক্তপ্রবাহে সঞ্চালিত হয়।
একই ধরনের ঝিল্লি অন্যান্য চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয়েছে।

তবে এটি প্রথমবারের মতো স্টেম সেল সংস্কৃতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতি প্রাণির মডেলগুলোতে দেখা গেছে, বেঁচে থাকার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে।

গুয়াংডং প্রদেশের সাউদার্ন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ঝুজিয়াং হাসপাতালের ট্রানস্লেশনাল মেডিসিন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক গাও ই বলেন,

লিভার রোগীদের যেভাবে সাহায্য করবে

বর্তমানে লিভার প্রতিস্থাপনই লিভার জটিলতার একমাত্র কার্যকর চিকিৎসা। এক্ষেত্রে লিভার চিকিৎসায় দাতার অভাব, জটিল অস্ত্রোপচার ও ব্যয়বহুল খরচের মতো বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।

স্টেম সেলভিত্তিক কৃত্রিম লিভার তৈরির লক্ষ্য হলো আক্রান্ত রোগীর লিভারকে সহায়তা করা যতক্ষণ না এটি প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন অনুসারে, চীনে প্রচুর লিভার রোগী রয়েছে। প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এরপরও লিভারের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার অভাব রয়েছে।