আর সম্ভব কি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আর সম্ভব কি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র


ফাইল ছবি

বাংলার-পৃথিবীঃ   আরব-ইসরায়েলের মধ্যে ১৯৪৮ সালের যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনে যে যুদ্ধ শুরু, সেটি চলছে এখনও। ১৯৭৩ সালে তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর আরব দেশগুলোর সঙ্গে আর কোনো যুদ্ধ না হলেও ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব-সংঘাত বন্ধ হয়নি। যদিও সংঘাত বন্ধে শান্তির ফর্মুলা হিসেবে বিভিন্ন সময় দুই রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুটি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্রের সমাধান প্রথম এসেছিল ১৯৪৭ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের মাধ্যমে। সে সময় বলা হয়, ইসরায়েল হবে ইহুদিদের এবং ফিলিস্তিন আরবদের জন্য। তবে ইহুদিরা মোট ভূখণ্ডের ১০ শতাংশের মালিক হলেও তাদের দেওয়া হয় মোট জমির অর্ধেক; যেটি আরবরা মানেনি। এর ধারাবাহিকতায়ই হয় প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। কিন্তু একটি সময়ে এসে ঠিকই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় পক্ষই দুই রাষ্ট্র সমাধানে ঐকমত্য হয়। তবে তা ব্যর্থ হয়।

ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েল পৃথক দুটি রাষ্ট্রের ধারণা প্রথমবারের মতো বাস্তবতার দিকে এগোতে শুরু করে ১৯৯৩ সালে নরওয়ের অসলোতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের শান্তিচুক্তির মাধ্যমে। যেটি অসলো অ্যাকর্ড নামে পরিচিতি। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, পাঁচ বছরের মধ্যে একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠনের পর এগুলো আলোচনার ভিত্তিতে পরে ঠিক করা হবে। কিন্তু তা আর কখনোই হয়নি।

ইসরায়েলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজের অধ্যাপক মেইর লিটভ্যাক বলেন, চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে দু’পক্ষেরই দায় ছিল।

সব মিলিয়ে ফিলিস্তিনে এখন যে ভৌগোলিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, তাতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বাস্তবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য সবার আগে দরকার ভূখণ্ড। কিন্তু পশ্চিম তীর যা কিনা ফিলিস্তিনের অংশ হবে, সেখানে এখন কয়েক লাখ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে। এ ছাড়া জেরুজালেমকে ইসরায়েল তার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেটিকে স্বীকৃতিও দিয়েছে। ফলে ভৌগোলিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এখন আর বাস্তবসম্মত নয় বলেই অনেকে মনে করেন।