সেরা চারে সাকিবের চোখ
প্রথম পাতা » খেলা » সেরা চারে সাকিবের চোখ
বাংলার-পৃথিবীঃ বিলবোর্ডে শোভা পেতে পারত বিশ্বকাপ দলের ছবি। ঢাকা শহরের সড়কদ্বীপের আর্কাইভগুলোতে সচল বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারত ‘সাকিবস ব্রিগেড’ নিয়ে। অথচ দেশের কোথাও তারা নেই। আছে ফেসবুক বিতর্কে। বিশ্বকাপ দল থেকে তামিম ইকবালের বাদ পড়া ও ভিডিও বার্তা প্রকাশ, সাকিব আল হাসানকে দোষারোপের সাক্ষাৎকার ছিল বিতর্কের তপ্ত কড়াইয়ে ঘি ঢালার মতোই।
এগুলো নিয়ে এতদিন বিতর্ক থাকলেও সব ভুলে যাওয়ার সময় এসে গেছে। উনিশের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড আর রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে আজ থেকে যে পর্দা উঠছে তেইশের বিশ্বকাপের। এর দু’দিন পর শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। হিমালয়ের পাদদেশে নয়নাভিরাম ধর্মশালায় টাইগারদের প্রথম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। সাকিব-তামিমে বিভক্তি ভুলে সেদিন নিশ্চয়ই এক হবে সবাই।
কিছুদিন আগে যে বা যারা সাকিবের আচরণ নিয়ে নিন্দামন্দ করেছেন, তারাও হয়তো স্লোগান দিতে পারেন– ‘বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান’। কারণ, ক্রিকেট অনুরাগী ১৬ কোটি মানুষই চান, বিশ্বকাপে বাজিমাত করুক সাকিব বাহিনী। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও অনভিজ্ঞ বলার সুযোগ নেই। ওপেনিংয়ে শুধু তামিম ইকবালই নেই। বাকি পজিশনে নেওয়া হয়েছে দেশসেরা ক্রিকেটারদের। স্পিন বিভাগ সমৃদ্ধ করেছেন তিন-তিনজন অলরাউন্ডার। কোচ ও অধিনায়ককে যেটা স্বস্তি দেবে একাদশ সাজাতে। তিন পেসারের সঙ্গে তিনজন অলরাউন্ডার রাখা হলেও নিয়মিত ব্যাটার খেলবেন পাঁচজন। সে ক্ষেত্রে আটজন ব্যাটার পাবে দল। বোলিং পরিবর্তন করা যাবে স্বস্তি নিয়ে।
বাংলাদেশ দলের বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে চিন্তার কারণ দেখেন না কেউই। এ দুই বিভাগই ভালো করছে। দুশ্চিন্তা যত ব্যাটিং নিয়ে। বিশেষ করে নিয়মিত রান করতে পারছেন না টপঅর্ডার ব্যাটাররা। প্রস্তুতি ম্যাচে তানজিদ হাসান সাকিব ভালো করলেও মূল ম্যাচে চাপ সামলে কতটা ভালো খেলেন তা দেখার। লিটন কুমার দাস, তাওহিদ হৃদয়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহরা ধারাবাহিক হলে বাঁচা। কারণ, নিয়মিত ব্যাটার হিসেবে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলতে হবে বড়দের। মোট কথা, দল হিসেবে সমন্বিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এবার যে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রত্যাশা আকাশ ছোঁয়া। সেমিফাইনাল, ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছে মানুষ। সাকিবরাও বিশ্বাস করেন প্রথম থেকে ভালো খেলতে পারলে স্বপ্নের সীমানা ছুঁয়ে ফেলতে পারবেন তারা। সেটা না পারলেও গর্ব করার মতো চারটি ম্যাচ জয় হবেই হবে। বিশ্বকাপ শেষে যেন গর্ব করে সাকিব বলতে পারেন– বাংলাদেশের সেরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ এটি, প্রথমবারের মতো চারটি দলকে হারানো গেছে। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার টি২০ বিশ্বকাপ শেষ করে যেমন বলেছিলেন, বাংলাদেশের সেরা টি২০ বিশ্বকাপ এটি।