জমকালো এশিয়ান গেমসের উদ্বোধন আজ চীনে
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জমকালো এশিয়ান গেমসের উদ্বোধন আজ চীনে
বাংলার-পৃথিবীঃ অনিন্দ সুন্দর হ্যাংঝুতে রোদের দেখা নেই। তাই বলে আকাশের কান্নাতেও উৎসবের উপলক্ষে এতটুকু ভাটা পড়েনি। সবুজায়নের পরিচ্ছন্ন নগরী তৈরি নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর কৃষ্টিকালচার তুলে ধরতে। যেখানে থ্রিডি স্কিনে প্রযুক্তির নতুন নিদর্শনগুলো বিশ্বকে দেখাতে চায় চীন। সবুজের মিশেলে, নাচেগানে বর্ণিল উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হ্যাংঝুর অলিম্পিক স্টেডিয়ামটি। বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা ৬টায় রঙিন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠছে এশিয়ান গেমসের ১৯তম আসরের। কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য এবার থাকবে না আতশবাজি; যা এশিয়ান গেমসের ইতিহাসে প্রথম। তবে থ্রিডি লাইটে এমনভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলা হবে, যাতে মনে হবে আতশবাজি হচ্ছে। ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের জমকালো ওপেনিংয়ে শুরুটা হবে অতিথিদের স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে। এরপর মার্চপাস্ট আর আর্টিস্টিকস নাচের সঙ্গে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা গাইবেন গেমসের থিম সং ‘লাভ উই শেয়ার’। উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চীনারা বরাবরই চমকে বিশ্বাসী। যে কোনো গেমসের উদ্বোধন অনুষ্ঠান নিয়ে আমজনতার আগ্রহ থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টার উদ্বোধনীতে ‘বিশেষ কিছু’ থাকছে বলেই মুখ বন্ধ আয়োজক কর্তাদের। গেমসের মশাল প্রজ্বালন করবেন কে? সেটাও জানাতে অপারগতা দেখিয়েছেন কর্তারা। তবে গেমসটি যেহেতু হ্যাংঝুতে, তাই এই শহরের অতীত এবং বর্তমান চিত্রটা ফ্লোর এবং ব্যাকগ্রাউন্ড স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হবে। টেকনোলজিক্যাল সাইডে কতটা উন্নতি করেছে, তার চিত্রটা উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশ্বকে দেখানোর যে প্রচেষ্টা, তাতে সফল হওয়ার আশা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনার প্রধান শা শিয়াওল্যানের।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগুলো আমাদের এই আয়োজনকে হ্যাংঝু এবং জিজিয়াংয়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং গভীর সংস্কৃতির পাশাপাশি চীনা জনগণকে উপস্থাপন করতে সহযোগিতা করেছে। বলতে পারেন, উদ্বোধনের পুরো আয়োজনটাই হবে ডিজিটাল। এসব তথ্যের বাইরে আয়োজকরা অন্য কিছু জানাতে চাননি।’
১৯৯০ বেইজিং এবং ২০১০ সালে গুয়াংজুতে হয়েছিল এশিয়ান ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ এ আসরটি। চীনের তৃতীয় শহর হিসেবে হ্যাংঝুতে বসছে ৪৫টি দেশের ১২ হাজার ক্রীড়াবিদের মিলনমেলা। মুখরিত মিলনমেলায় পর্যটনের নগরীতে আছে বাংলাদেশও। প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠিকতার দিনে মার্চপাস্টে লাল-সবুজের পতাকা বহন করবেন নারী জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার দাবাড়ু নিয়াজ মোর্শেদ। স্বপ্ন ও বাস্তবতার সংমিশ্রণে ১৭টি ডিসিপ্লিনে এবার অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ক্রিকেট আর ফুটবল দিয়ে স্বপ্নের পথচলা শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই পুরুষ ফুটবলে দলের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। এক যুগেরও বেশি সময় আগে গুয়াংজুতে দেশকে স্বর্ণ এনে দেওয়া ক্রিকেটকে ঘিরেই এবার স্বপ্ন দেখছে কোটি বাঙালি।