আফগানদের সামনে বাংলাদেশ

প্রথম পাতা » খেলা » আফগানদের সামনে বাংলাদেশ


ফাইল ছবি
 বাংলার-পৃথিবীঃ        শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে তা ব্যবচ্ছেদের ফুসরতও মেলেনি বাংলাদেশের। গতকাল ক্যান্ডির হোটেল থেকে সকাল সকালই কলম্বোর উদ্দেশে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে সাকিব-মুশফিকদের। সেখান থেকে বিকেল ৪টায় চাটার্ড ফ্লাইটে লাহোর রওনা। রাত ৮টা নাগাদ পাকিস্তানে পৌঁছে যান সাকিবরা।

ম্যাচের ক্লান্তি ও ভ্রমণক্লান্তি দূর করতে এরপর বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়ার কথা ক্রিকেটারদের। আজ সন্ধ্যায় গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের কৃত্রিম আলোয় অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল। ওই এক সেশনের ভরসায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে রোববার টিকে থাকার লড়াইয়ে নামবে তারা।

শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিশাল চাপ নিয়ে লাহোর গেছে বাংলাদেশ দল। সুপার ফোরে খেলতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেতা ছাড়া পথ নেই সাকিবদের সামনে। অবশ্য শুধু জিতলেই হবে না, নেট রান রেটের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। কারণ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ৩৯ ওভারেই হেরে বসায় বাংলাদেশের নেট রান রেটের অবস্থা বেশ বাজে। এখন বাংলাদেশ যদি রোববার জিততে পারে এবং শেষ গ্রুপ ম্যাচে আফগানরা যদি শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয়, তাহলে গ্রুপের তিন দলেরই একটি করে জয় হবে। তখন নেট রান রেটে সেরা দুই দলকে বাছাই করা হবে।

আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি সবার শেষে বলে দুই দলই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। মাঠে নামার আগে নিজেদের করণীয়টা জেনে যাবে তারা। সেদিক থেকে বাংলাদেশ কিছুটা ব্যাকফুটেই থাকবে। আর আফগানদের কাছে হারলে কোনো সমীকরণেরই দরকার হবে না, টানা দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্ব থেকেই বাড়ি ফিরে আসতে হবে তাদের।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৯ রান করা শান্ত অবশ্য এত কিছু ভাবতে রাজি নন। বৃহস্পতিবার হারের পরও সুপার ফোর নিয়ে বেশ আশাবাদী তিনি, ‘অবশ্যই সম্ভব (সুপার ফোরে খেলা)। তবে এত দূর না ভেবে আমাদের এখন পরের ম্যাচটা কীভাবে জিততে পারি, সে পরিকল্পনা করতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা ওই ম্যাচ জেতার জন্যই খেলব। ম্যাচটা যদি জিতি, তাহলে কী পরিস্থিতি দাঁড়ায়, সেটা তখন দেখা যাবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘উইকেট দেখে আমাদের মনে হয়েছিল ব্যাটিং করার মতো। আমাদের অধিনায়ক, কোচ সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটাতে আমরা একমত ছিলাম। আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। উইকেট খুব সহজ ছিল, তা বলব না, কিন্তু আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম।’

বাংলাদেশের এই কঠিন সময়ে সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার রমিজ রাজা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রমিজ বলেন, “ম্যাচ-পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সাকিব বলেছেন ‘লিটন ও তামিম নেই।’ এটা আমার ভালো লাগেনি। এটা বলা ঠিক নয়। কারণ এমন মন্তব্যের পর দলের সবাই ভেঙে পড়ে। তারা মনে করে, আমাদের ওপর অধিনায়কের ভরসা নেই, আমাদের হিসাবে ধরছেন না। তাঁর চোখে আমরা ম্যাচ উইনার নই।” বরং কৌশলগত বিশ্লেষণ করে হারের কারণ বের করে দ্রুত সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন রমিজ। দলের সবাইকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখা এখন সাকিবের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছেন সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান। তাঁর মতে, সাকিব বাদে দলে মানসম্পন্ন কোনো অলরাউন্ডার নেই বলেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ।