যেভাবে ব্যথার রোগীরা হজের প্রস্তুতি নেবেন
প্রথম পাতা » ফিচার » যেভাবে ব্যথার রোগীরা হজের প্রস্তুতি নেবেনইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হচ্ছে হজ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক নর-নারীর জন্য হজ ফরজ বা অবশ্যকরণীয় ইবাদত। এ বছরের হজের আর খুব বেশিদিন বাকি নেই। হজের জন্য যেমন মানসিক প্রস্তুতি দরকার, তেমনি প্রয়োজন শারীরিক প্রস্তুতি। একজন ব্যক্তি সুস্থ-স্বাভাবিক থাকলে তাঁর জন্য হজ খুব সহজ হয়ে যায়। কারণ, কাবা শরিফ তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া গমন এবং মদিনার আরাফায় রাতযাপন শেষে মুজদালিফা হয়ে মিনায় হেঁটে যেতে হয়। এ ছাড়া জামারাতে শয়তানের দিকে পাথর নিক্ষেপের কাজটিও হেঁটেই করতে হয়। এ জন্য হাজিদের প্রায় পুরো হজের সময়ই শারীরিক পরীক্ষা দিতে হয়।
ব্যথার রোগীদের কী প্রস্তুতি নিতে হবে
যেসব হজযাত্রী তীব্র কোমর, হাঁটু বা পায়ের গোড়ালি ব্যথায় ভুগছেন, তারা ফিজিওথেরাপি নিয়ে দ্রুত ব্যথা কমানোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে দিনে দু’বার ফিজিওথেরাপি নেওয়া যেতে পারে। ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ প্রদর্শিত বিশেষায়িত ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করবেন। এতে আপনি মানসিক ও শারীরিকভাবে উৎফুল্ল থাকবেন। যাদের ব্যথা তীব্রতর, তারা হাঁটুব্যথার জন্য নি-ক্যাপ ও কোমর ব্যথার জন্য লাম্বার কর্সেট বা কোমরের বেল্ট সঙ্গে নিতে পারেন; প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহার করবেন। তবে কর্সেট সব সময় ব্যবহার না করাই উত্তম। পায়ের গোড়ালি ব্যথার রোগীরা হিল কুশন ও বিশেষ ধরনের নরম জুতা ব্যবহার করবেন। যাদের গরম শেক ভালো লাগে, তারা হট ওয়াটার ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারেন। সাময়িক তীব্র ব্যথা কমাতে এসিক্লোফেনাক জাতীয় ব্যথার ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শমতো সঙ্গে রাখতে পারেন। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ডায়াবেটিস রোগীরা ব্যথার ওষুধ যত কম সেবন করবেন, ততই ভালো।
কী ধরনের ফিজিওথেরাপি নেবেন
ব্যথার কারণ নির্ণয় করে ফিজিওথেরাপি নিতে হবে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যথায় ভুগছেন, তারা সাময়িক ব্যথা কমানোর জন্য ইলেকট্রোথেরাপি নিতে পারেন। তবে থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বা ব্যায়ামগুলো খুব ভালোভাবে শিখতে হবে এবং নিয়ম মেনে ব্যায়াম করতে হবে। সবকিছুর মূলে রয়েছে ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয়। সে অনুযায়ী চিকিৎসা আপনাকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে।
লেখক : কোমর ব্যথাবিষয়ক গবেষক এবং বিভাগীয় প্রধান, ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাব বিভাগ, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।