সুস্থ থাকতে গরমে যা করবেন

প্রথম পাতা » ফিচার » সুস্থ থাকতে গরমে যা করবেন


ফাইল ছবি

প্রকৃতিতে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাপের পারদ। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকীয় কার্যক্রম বেড়ে যায়। এর ফলে শারীরিক গোলযোগ দেখা দেয়। শরীরে হরমোন ও এনজাইমের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। গরমে শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। ঘামের সঙ্গে পানি ও প্রয়োজনীয় উপাদান লবণ দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় সচেতন হয়ে কিছু নিয়ম মেনে চললে সুস্থ ও সতেজ থাকা যায়।

এই গরমে অতিরিক্ত পরিশ্রম ও ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন। পারলে খুব ভোরে খোলা বাতাসে হেঁটে আসুন। ফিটনেস বজায় রাখার জন্য সাঁতার কাটতে পারেন। যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন করতে পারেন। ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এতে দেহ যেমন ঠান্ডা থাকবে, মনেও শান্তি থাকবে।

সুস্থ থাকতে প্রখর সূর্যালোক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বাইরে বেরোনোর অন্তত ২০ মিনিট আগে শরীরের অনাবৃত অংশে সানস্ক্রিন লোশন মেখে নিন। বাইরে বেরোনোর সময় ছাতা, স্কার্ফ, সানগ্লাস ব্যবহার করুন। সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি রাখুন। সারাদিন পানিশূন্যতা কমাতে তিন-চার লিটার পানি পান করুন। শরীরে লবণের পরিমাণ ঠিক রাখতে খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি ও গ্লুকোজ গ্রহণ করুন।

চা, কফি, কোমল পানীয় পরিহার কমিয়ে লেবুর শরবত, আখের রস, ডাবের পানি, তরমুজ, পেঁপে ও বেলের শরবত নিয়মিত পান করুন।
প্রতি বেলার খাদ্য তালিকায় টক দই ও সালাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। হালকা সহজপাচ্য কম মসলাযুক্ত খাবার, শাকসবজি, স্যুপ, মাছের ঝোল, ডাল, টমেটোর টক খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। গরমের সময় চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
এ সময় হালকা রঙের আরামদায়ক সুতির পোশাক নির্বাচন করুন। সারাদিন বাইরে থাকার ফলে শরীরে যে ঘাম হয়, সুতির পোশাক তা সহজেই শোষণ করে নেয়। আরামদায়ক, খোলা জুতা ব্যবহার করুন।

গরমের দিনে বারবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। প্রতিদিন অন্তত দুই বেলা গোসল করুন। বাইরে বেরোনোর সময় হালকা প্রসাধনী ব্যবহার করুন। বেশি প্রসাধনী মুখের ওপর ভারী আবরণ তৈরি করে ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করে।
ঘরে হালকা রঙের পর্দা ও বিছানায় হালকা রঙের চাদর ব্যবহার করুন। ফোমের বালিশ ব্যবহার না করে শিমুল তুলার বালিশ ব্যবহার করুন। দিনের বেলায় ঘরে বাতি নিভিয়ে রাখুন। ঘরের মধ্যে একটি-দুটি টবে গাছ রাখুন। স্নিগ্ধ সতেজতা আনতে ঘরে বেলিফুল রাখতে পারেন।
লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।