আক্তারুন্নাহার রেহানা পেলেন আন্তর্জাতিক সৃজনকলা পুরষ্কার-২০২৪
প্রথম পাতা » শিক্ষাঙ্গন » আক্তারুন্নাহার রেহানা পেলেন আন্তর্জাতিক সৃজনকলা পুরষ্কার-২০২৪সাহিত্যে সৃজনশীল লেখনীর জন্য ICALDRC Linguistics Unit of Dhaka University আক্তারুন্নাহার রেহানা কে “আন্তর্জাতিক সৃজনকলা পুরষ্কার ২০২৪” প্রদান করেছে । ৩০ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত Discussion on “Impact of Language & Literature on Enriching Minds and Inspiring Lives & The International Creative Arts Award-2024 Giving Ceremony “. অনুষ্ঠানে এই পদক ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.সৌমিত্র শেখর ডি.লিট , বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউ,এস,এ এর অধ্যাপক ড. নেছার ইউ আহমেদ( Fulbright scholar, US Public Diplomacy), বাংলাদেশের মাটির সুরের সম্রাট আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পী মুজীব পরদেশী, বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডি আই জি লেখক শামীমা বেগম এবং The International Creative Arts Language & Development Research Centre ( ICALDRC) এর মহাসচিব অধ্যাপক লুৎফর রহমান জয়।
অনুষ্ঠানেটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড: আসাদুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ICALDRC ভাষাতত্ব ইউনিট বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা, সাহিত্য প্রকাশনা, পরিবেশনা শিল্প, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জীবনঘনিষ্ঠ নন্দনশৈলীকে প্রত্যায়ন করে সৃজনশীলতার এই পদক ও সম্মাননা প্রদান করেছে।
আক্তারুন্নাহার রেহানা সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার অন্তর্গত ৪নং রায় দৌলতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৮২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন মোছা. আক্তারুন্নাহার রেহানা। পিতা মরহুম আলী আশরাফ মণ্ডল ও মাতা মরহুমা আলহাজ্ব মৌলুদা বেগমের পাঁচ কন্যা ও চার পুত্রের মাঝে তিনি অষ্টম। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন কন্যার স্নেহময়ী জননী ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা জনাব হুমায়ুন কবীরের সহধর্মিনী । শৈশব কাল থেকেই তিনি প্রখর মেধাবী, বিদ্যানুরাগী, সহনশীল, দূরদর্শী, সহশিক্ষা ও খেলাধুলায় পারদর্শী, প্রকৃতিপ্রেমী ও পরোপকারী ছিলেন। জীবনের ঊষালগ্ন হতেই ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া শিখে বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করার। কিন্তু তৎকালীন সময়ে পিতামহ মরহুম আলহাজ্ব আব্দুস সোবহান মণ্ডলের বেঁধে দেয়া অলিখিত বিধান ও পারিবারিক সংস্কার ছিল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক গণ্ডীর বাইরে কন্যা সন্তানদের শিক্ষাদীক্ষা অর্জন ও বাড়ির বাহিরে গমন নিষিদ্ধ । হেন পরিস্থিতিতে মেজ ভ্রাতা মোঃ মিজানুর রহমান এর সমর্থন ও সহযোগিতায় প্রচলিত ধারার এ সংস্কারের দেয়াল টপকে বংশের কন্যাকুলের মাঝে তিনিই প্রথম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে অবস্থান করে বি.এ. অনার্স ও এম.এ. ডিগ্রী অর্জন করেন এবং কলেজের প্রভাষনা পেশার মধ্য দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে রাজধানী ঢাকার কুইন্স কলেজ, ক্যামব্রীয়ান কলেজ, কসমো ইংলিশ ভার্সন স্কুল এন্ড কলেজ এ শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালে তিনি ঢাকা বয়েজ এন্ড গার্লস কলেজের ডিগ্রি সেকশনে প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন ।