মূল হোতা গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরকে গাছে বেঁধে মারধরের ঘটনায়

প্রথম পাতা » ফিচার » মূল হোতা গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরকে গাছে বেঁধে মারধরের ঘটনায়


ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় কিশোর দিদার হোসেনের (১৪) এক পা গাছে বেঁধে মারধরের ঘটনার মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে আদালতে সোর্পদ করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার মো. জামির উপজেলার চরচালতলা এলাকার বাসিন্দা। আশুগঞ্জ থানায় তাঁর নামে মাদক, চুরি, ছিনতাইয়ের আটটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একই গ্রামের দিদার হোসেন ও রহিমা খাতুন দম্পতির ছেলে দিদার। খায়ের মিয়া পেশায় জেলে। তাঁদের সংসারের জন্য পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিদার তাঁর বাবার সঙ্গে মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরে। এই দম্পতির আরও দুই সন্তান রয়েছে।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে একই এলাকার চরচারতলা গ্রামের তোফাজ্জলের কাছে নৌকার কাজের পাওনা টাকা চাইতে গেলে দিদারের সঙ্গে তোফাজ্জলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে দুপুরে দিদার বাড়ি থেকে বের হলে একই গ্রামের জামিরের নেতৃত্বে ৫–৬ জন দিদারকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁরা দিদারের এক পা একটি কড়ই গাছের ডালে দড়ি বেঁধে জামিরসহ কয়েকজন মিলে মোটা রশি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন।

নির্যাতনের সময় দিদারের মা–বাবাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ২ লাখ টাকা নিয়ে যেতে বলেন জামির। না হয় ছেলেকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেন। পরে দিদারের মা ৩০ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় দিদারের বাবা খায়ের মিয়া বাদী হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ থানায় জামিরসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ আহমেদ বলেন, ‘দিদারের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা পেয়ে আমরা আসামিদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে থেকে মূল হোতা জামিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।’