ডাব খাওয়া উপকারী যেসব কারণে

প্রথম পাতা » ফিচার » ডাব খাওয়া উপকারী যেসব কারণে


ডাব খাওয়া উপকারী যেসব কারণে

ডাবের পানির উপকারিতার কথা কমবেশি সবারই জানা। শরীর সুস্থ রাখতে ডাবের পানির তুলনা নেই। ত্বকের সমস্যাতেও ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এই পানি শুধু গরমে নয়, শীতেও শরীরের জন্য খুব উপকারী।
এক গ্লাস সুস্বাদু ডাবের পানি শুধু দেহ-মনে প্রশান্তির ছোঁয়াই এনে দেবে না; আপনি শুনে বিস্মিত হবেন, এর এমন এক অলৌকিক গুণ আছে, যা ওজন কমিয়ে আপনাকে
সুস্থ ও সতেজ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডাবের পানি ইলেকট্রোলাইট ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। যে
কারণে এটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে গ্রহণযোগ্য। আপনি যদি পানিশূন্যতায় ভোগেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ধীরগতিতে ক্যালরি বার্ন হবে। এ পানিশূন্যতা দূর করবে সহজলভ্য ডাবের পানি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ডাবের পানি। এতে থাকা রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিন ও পাইরিডোক্সিনের মতো উপকারী উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর ফলে জীবাণুরা সহজে সংক্রমণ ঘটাতে পারে না।
এই লো-ফ্যাটযুক্ত স্বাস্থ্যকর পানীয় পটাশিয়ামের উৎস, যা শরীরের ফ্যাট বার্ন করে পেশি গঠনে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি বেশি করে ডাবের পানি পান করেন, তাহলে মেটাবলিজম বেড়ে যাবে আর ওজন থাকবে স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণে।
ডাবের পানিতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় শক্তিশালী করার পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডাবে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়ামও এ ক্ষেত্রে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ ও সি, যা ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। এ দুই ভিটামিন চুলের গোড়া মজবুত রাখতেও সাহায্য করে।
এক কাপ ডাবের পানিতে তিন গ্রাম ফাইবার থাকে, যা অন্যান্য পানীয়র তুলনায় অনেক বেশি। ফাইবার পরিপাকের মাধ্যমে খাদ্য শোষণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইবার শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নির্মূল করে শরীর সুস্থ রাখে।
ডায়েটেশিয়ান ও জিম ইনস্ট্রাক্টররা খাদ্যতালিকায় সব সময় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রাখার পরামর্শ দেন। এক কাপ ডাবের পানিতে রয়েছে দুই গ্রাম প্রোটিন। তাই ব্যায়ামের পরে স্পোর্টস ড্রিংক হিসেবে বেছে নিতে পারেন ডাবের পানি। অন্যান্য স্পোর্টস ড্রিংকে থাকে প্রচুর পরিমাণে
চিনি, ক্যালরি ও ফ্যাট। গবেষকদের মতে, ওজন হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন সি।
লেখক : মেডিকেল অফিসার, শহীদ আহ্‌সান উল্লাহ্‌ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, টঙ্গী।