বাংলার-পৃথিবীঃ টানা শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে স্কুল বন্ধ ইস্যুতে চার ঘণ্টায় তিন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
তাপমাত্রা ঠিক কত ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে স্কুল বন্ধ রাখা যাবে, তা নিয়ে তালগোল পাকিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, দিনভর যা ছিল আলোচনায়।
এ নিয়ে মঙ্গলবার দফায় দফায় বিজ্ঞপ্তি পরিবর্তন করেছে মাউশি।
সর্বশেষ রাত ১২টায় তৃতীয় দফা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এতে মাউশি উল্লেখ করেছে, যেসব জেলায় দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপপরিচালকরা ওইসব জেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়।
দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি না হওয়া পর্যন্ত ওই সব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে বলেও সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে চলমান শৈত্যপ্রবাহে স্কুল বন্ধ রাখা নিয়ে নির্দেশনা দেয় মাউশি। তাতে বলা হয়, যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামবে, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যাবে।
এমন নির্দেশনা জারির ঠিক দুই ঘণ্টার মাথায় তাতে পরিবর্তন আনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ নয়, ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে তবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
মাউশির দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদেশের প্রায় হুবুহু আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ রাখা যাবে।
মাউশি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের পর এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।
সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও চুয়াডাঙ্গাসহ কিছু এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামার নজির নেই বলে অনেকে এ সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ উল্লেখ করেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের যোগাযোগ করা হয়। আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবার ১০ ডিগ্রির নিচে বেশ কয়েকবার নেমেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি বা কাছাকাছি থেকেছে। এর নিচে নেমেছে বলে তো জানা নেই।
বাংলাদেশে ঠিক কবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নেমেছিল—এমন প্রশ্নে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, এটা আমার জানা নেই। অনেক দিন হলো আবহাওয়া অধিদপ্তরে কাজ করছি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামার তথ্য কখনো পাইনি।