বাংলার পৃথিবীঃ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১৮ দিন পর, বাংলাদেশের পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৪১ হাজার ৩২৭ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরে ভিড়েছে এমভি অ্যাথেনা নামের একটি জাহাজ। এমভি অ্যাথেনা থেকে শুক্রবার (২৩ জুন) বিকাল ৩টা থেকেই কয়লা খালাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
পায়রা বন্দর সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাত ৯টার দিকে এমভি অ্যাথেনা পায়রা বন্দরের গভীর চ্যানেলে পৌঁছায়। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায়, গত ৫ জুন দুপুর থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
শনিবার (২৪ জুন) সকালে পুরোদমে কয়লা খালস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি সূত্র।সূত্র আরো জানায়, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আরো ৪টি কয়লাবাহী জাহাজ আসবে পায়রায়। প্লান্ট ম্যানেজার মো. গোলাম মাওলা বলেছেন, “অন্তত ২ লাখ মেট্রিকটন কয়লা মজুত করার পর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে।”
এর আগে বলা হয়েছিলো, প্রথম চালানে আসা কয়লা দিয়ে ২৫ জুন বিদ্যুত উৎপাদনে যাবে বিদ্যুৎত কেন্দ্রটি। গোলাম মাওলা এই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি অস্বীকার করেননি।
উল্লেখ্য, জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায়, গত ৫ জুন দুপুর থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার উৎপাদন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়লা আমদানিতে ৩৯০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পড়ে।
ডলার সংকটে বিল পরিশোধ করতে না পারায়, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দিলে জ্বালানি সংকটে, প্রথমে গত ২৫ মে বন্ধ হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন। গত ৫ জুন্য বন্ধ হয় দ্বিতীয় ইউনিট। এর ফলে, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায়, দেশব্যাপী শুরু হয় লোডশেডিং।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) শাহ আব্দুল হাসিব জানান, “বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে বিলম্ব হয়। ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ডলার বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে।”
এছাড়, তিন থেকে চার দিনের মধ্যে উৎপাদন আবার শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব