শীতে কানের সমস্যা প্রতিরোধে করণীয়

প্রথম পাতা » ফিচার » শীতে কানের সমস্যা প্রতিরোধে করণীয়


শীতে কানের সমস্যা প্রতিরোধে করণীয়

শীত আরামদায়ক হলেও শরীরে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করে। শীতে নানা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা-বেদনা বাড়ে। কানে ইনফেকশনের ঝুঁকিও এ সময় বেড়ে যায়। তার মানে এই নয় যে, শুধু শীতকালে ঠান্ডা লেগেই কানে ইনফেকশন হয়। সারাবছরই কানে ইনফেকশন হতে পারে। তবে শীতে ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে। কানে কেন ইনফেকশন হয় এবং কীভাবে তা রোধ করা সম্ভব, তা আগে থেকে জেনে রাখা ভালো।

কানের ইনফেকশন কেন হয়?

সাধারণত কানের বাইরের দিকে বা মিডল ইয়ারেই ইনফেকশন হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা বলেন, ঠান্ডা লাগলে নাকের সর্দি কানের দিকে চলে গিয়ে ইনফেকশন বাধায়। শিশু থেকে বয়স্ক– সবারই কানের ইনফেকশন হতে পারে। এখন শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই সাঁতার কাটেন। তারপর কান পরিষ্কার করতে ইয়ার বাড ব্যবহার করা হয়। ফলে খুব সহজেই কানে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে এবং ইনফেকশন হতে পারে। এক্সটার্নাল ইয়ারে তখন ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
এ ছাড়া খুব ঠান্ডা লেগে আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্টে ইনফেকশন হলে তা পৌঁছে যেতে পারে কানে। শীতকালে আরেকটি ব্যাপার দেখা যায়, ঠান্ডা-সর্দি লাগার পর বাচ্চা বলছে, অনেক কান ব্যথা করছে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, পরামর্শ না নিলে ঠান্ডা-সর্দি মধ্যকর্ণে প্রদাহ তৈরি করে ফেলে এবং অল্প সময়ের মধ্যে, এমনকি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ প্রদাহ দেখা যায়। যার ফলে কানের পর্দা ফুটো হয়ে যেতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়

কান পরিষ্কার রাখতে বাইরে থেকে কিছু করার প্রয়োজন নেই। কান নিজেই নিজেকে পরিষ্কার রাখে। কান পরিষ্কার করতে বারবার কটন বাড ব্যবহার করলে ইনফেকশন হতে পারে। তার চেয়ে বরং রোজ গোসলের পর তোয়ালে দিয়ে কানের যতটা অংশ পারেন মুছে নিন।

শীতকাল এলেই যারা কানের ইনফেকশনে ভোগেন, তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে নিয়মিত নাক পরিষ্কার করা। এতে ইনফেকশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পথ বা নালি স্বাভাবিক থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বাজারে প্রচলিত নরমাল স্যালাইন নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
শীতে রাতে বাইরে বেরোলেই পরতে হবে কানঢাকা পোশাক। মাফলার, মাঙ্কি টুপির পাশাপাশি এখনকার বাহারি কানঢাকা, সুবিধামতো কিছু একটা পরে নিলেই হলো।
লেখক : নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।




আর্কাইভ