বাংলার-পৃথিবীঃ রাজধানীর মিরপুরে আজ বৃহস্পতিবারও অবস্থান করছেন পোশাকশ্রমিকেরা। মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাকশ্রমিকেরা কয়েক দিন ধরে সেখানে অবস্থান করছেন।
সকাল আটটার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর থেকে শ্রমিকেরা মিরপুর-১১ নম্বর ও ১২ নম্বরের দিকে যান। মিরপুর-১২ নম্বরে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। পরে শ্রমিকেরা আবার মিরপুর–১০ নম্বরে যান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করছেন।
পল্লবী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সালমা বেগম জানান, শ্রমিকেরা সেখানে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মজুরি বাড়ানোর দাবিতে কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকেরা। শ্রমিকদের আন্দোলনের মধ্যে গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া ও ঢাকার মিরপুরে প্রায় ২০০টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছেন মালিকেরা। তাঁদের আশঙ্কা, কারখানা খোলা রাখলে শ্রমিকদের বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রাজধানীর মিরপুরে গতকাল বুধবারও শ্রমিকেরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সাভারে কিছু শ্রমিক বিক্ষোভে নেমেছিলেন। তবে গাজীপুরে পরিস্থিতি ছিল শান্ত।
এদিকে মালিকপক্ষ গতকাল নিম্নতম মজুরি বোর্ডকে জানিয়েছে, তাঁরা নতুন করে মজুরি প্রস্তাব দেবেন। আগের প্রস্তাব বাতিল হবে। নতুন প্রস্তাবে মজুরি বাড়িয়ে ধরা হবে, তবে তা কত হবে, জানানো হয়নি।
গাজীপুরের কোনাবাড়ী, জরুন, চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগরা, লক্ষ্মীপুরা তিন সড়ক এলাকায় গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, তুসুকা গ্রুপ, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, এমএম নিটওয়্যার, পিএন কম্পোজিট, কলম্বিয়া অ্যাপারেলসসহ বেশ কয়েকটি কারখানার ফটকে বন্ধের নোটিশ ঝুলছে। শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরে বন্ধ থাকা কারখানা ১৫০টির বেশি হবে।
অধিকাংশ কারখানা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা বলা হয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। শনিবার কারখানা খুলবে। দু-একটি কারখানা আজ খুলবে। কিছু কারখানায় অনির্দিষ্টকাল বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।