৬ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায়

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ৬ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায়


ছাত্রলীগের ৬ কর্মী  বহিষ্কৃত
 বাংলার-পৃথিবীঃ     সংবাদ প্রকাশের জের ধরে অনলাইন পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি ওবাইদুর সাঈদকে জেরা ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে কলেজের শহীদ ফরহাদ হোসেন ছাত্রাবাসে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের ছয় কর্মীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

শনিবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সংগঠনবিরোধী ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী রাউফুর রহমান সোহেল, এ বি এম আলামিন, সজিব আহসান, আবরার হোসাইন সাগর, সৈয়দ আব্দুল্লাহ শুভ ও ফাহমিদ হাসান পলাশকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। রাউফুর রহমান পদপ্রত্যাশী নেতা ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ২৮ সেপ্টেম্বর হল ছাত্রলীগ নেতা রাউফুর রহমান সোহেলের অনুসারী আল আমিন, সজিব আহমেদ, সাগর ও ইকরাম কলেজের দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদকে মারধর করে। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর রাউফুর সোহেল তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে ওবাইদুরকে মারধর ও নির্যাতন করে। এরপর তার ফোনের লক খুলতে বাধ্য করে। ফোন চেক করে এবং ফোন নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার ওবাইদুরের আত্মীয়স্বজন তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ বলেন, এ নিয়ে কমিটি গঠন হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা কলেজের শিক্ষক সমিতির সম্পাদক কুদ্দুস শিকদার বলেন, ওবাইদুরের বিষয়টি শুনেছি। এ নিয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। তদন্ত শেষে ওবাইদুরের ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম জানিয়েছেন, কলেজ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। প্রশাসন যদি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। বুধবার এই তদন্ত প্রতিবেদনের ফলাফল জানানো হবে।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা রাউফুর সোহেল  বলেন, ‘আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি কেন গুপ্তচরবৃত্তি করেছিল। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। তার ফোন অধ্যক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।




আর্কাইভ