রংপুরে ডেঙ্গু রোগী সংখ্যা ১৫০০ ছাড়াল, মৃত্যু তিনজনের

প্রথম পাতা » এক্সক্লুসিভ » রংপুরে ডেঙ্গু রোগী সংখ্যা ১৫০০ ছাড়াল, মৃত্যু তিনজনের


 ফাইল ছবি

  বাংলার-পৃথিবীঃ     রংপুর অঞ্চলে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। বিভাগের আট জেলায় আক্রান্ত দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে এডিস মশাবাহিত এ রোগে প্রাণ গেছে তিনজনের। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আট জেলায় চিকিৎসাধীন আছেন দুই শতাধিক রোগী।
রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন স্থাপনায় পাওয়া গেছে এডিসের লার্ভা। সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ডেঙ্গুর রেড জোনে আছে ১৫টি। এ পরিস্থিতিতে নগরবাসীর দাবির মুখে মশক নিধন ও প্রচারণা অভিযানে নেমেছে সিটি করপোরেশন। গতকাল বুধবার নগরীর মেডিকেল মোড়ে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ জানান, প্রতিদিনই ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০ জনসহ ৪৯ জন; দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জনসহ ৩৬ জন চিকিৎসাধী। এ ছাড়া নীলফামারীতে ২০, লালমনিরহাটে ১৭, কুড়িগ্রামে ২০, গাইবান্ধায় ২২, ঠাকুরগাঁওয়ে ২১ এবং পঞ্চগড় জেলায় ১৫ জন চিকিৎসাধীন। চলতি বছর এ পর্যন্ত রংপুরে ১ হাজার ৫৬৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে ১ হাজার ৩৬২ জন বাড়ি ফিরেছেন। মৃত্যু হয়েছে এক নারীসহ দুই যুবকের। তিনি জানান, হঠাৎ করেই রোগীর চাপ বাড়ছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। আগের দুই দিন ২২ জন করে শনাক্ত হয়েছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৯ আগস্ট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকাফেরত মাঈদুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গার গোপালের খামার এলাকায়। তিনি ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গত সোমবার মারা যান রংপুরের পীরগাছার মনজিলা বেগম। তিনি পারুল ইউনিয়নের কিশামতকালা গ্রামের আজাদুল ইসলামের স্ত্রী। এর আগে ৪ জুলাই মহানগরীর পুরাতন সদর হাসপাতাল সুইপার কলোনির বুলেট লাল মারা যান।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে গতকাল বুধবারও রংপুরে মানববন্ধন হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার উদ্যোগে সিটি করপোরেশনের সামনে এ মানববন্ধনে পার্টির জেলা আহ্বায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, সদস্য সচিব আহসানুল আরেফিন তিতু প্রমুখ বক্তব্য দেন। পরে তারা মেয়র বরাবর স্মারকলিপি দেন।

এ প্রেক্ষাপটে বুধবারই নগরীতে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এ সময় আরও বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ইবনে তাজ, কীটতত্ত্ববিদ ডা. হারুন অর রশিদ প্রমুখ।

ক্র্যাশ প্রোগ্রামে নগরীর মেডিকেল মোড় থেকে মডার্ন মোড় পর্যন্ত ১৫টি ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান সড়ক, ঝোপঝাড়-জঙ্গল কর্তন, আবর্জনা অপসারণসহ নালা, খাল ও ক্যানেল পরিষ্কার করা হবে। ড্রেন, নালা, জলাশয়, ক্যানেলে এডাল্টিসাইড ও লার্ভিসাইড স্প্রে করা হবে।




আর্কাইভ