কী করবেন একজিমা হলে

প্রথম পাতা » ফিচার » কী করবেন একজিমা হলে


কী করবেন একজিমা হলে

একজিমা হচ্ছে ত্বকের এক ধরনের প্রদাহ, যাতে ত্বক লালচে হয়ে যায় এবং ফুলে ওঠে। সেই সঙ্গে থাকে প্রচণ্ড চুলকানি। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, যা থাকতে পারে কয়েক মাস বা বছরজুড়ে।

উপসর্গ
লালচে, প্রদাহযুক্ত ত্বক, শুষ্ক, খসখসে, ফেটে যাওয়া ত্বক, চুলকানি, হাত-পায়ের ত্বকের মধ্যে ছোট ছোট পানির ফুসকুড়ি, ত্বকে সংক্রমণ হলে ত্বক ভেজা ভেজা হয় এবং পুঁজ বের হতে পারে। ত্বকের যেসব জায়গা বারবার চুলকানি হয়, সেগুলো পুরু হয়ে যায়।

একজিমা হওয়ার কারণ
রাসায়নিক দ্রব্য, ডিটারজেন্ট, সাবান অথবা শ্যাম্পু থেকে সংক্রমণ।
• অ্যালার্জি হয় এমন বস্তু থেকে, যেমন– পরাগরেণু, ঘরবাড়ির ধুলা, পশুপাখির পশম, উল ইত্যাদি থেকে। হরমোন পরিবর্তন, বিশেষ করে মাসিকের সময় এবং গর্ভাবস্থায়।
অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া।

একজিমার প্রকারভেদ
একজিমা অনেক ধরনের হয়ে থাকে, যেমন–
অ্যাটোপিক একজিমা: শরীরের যেসব স্থানে ভাঁজ পড়ে, যেমন– হাঁটুর পেছনে, কনুইয়ের সামনে, বুকে, মুখে ও ঘাড়ে অ্যাটোপিক একজিমা দ্বারা আক্রান্ত হয়।
অ্যালার্জিক কনটাক্ট একজিমা: কোনো পদার্থ বা বস্তু থেকে যখন একজিমা দেখা দেয়, তখন শরীরের যে অংশে অ্যালার্জি হয়, সেখানে লালচে দানা দেখা যায়। এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে যেতে পারে।
ইরিট্যান্ট কনটাক্ট একজিমা: এটি অ্যালার্জিক একজিমার মতোই এবং সাধারণত ডিটারজেন্ট অথবা পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত দ্রব্যের ঘন ঘন ব্যবহারের মাধ্যমে এটি দেখা দেয়।
সেবোরিক একজিমা : মাথার ত্বকে হালকা খুশকির মতো তৈলাক্ত ফুসকুড়ি দেখা যায়। এর ফলে শরীরের অন্যান্য অংশ লালচে এবং যন্ত্রণার সৃষ্টি হতে পারে। এটি সাধারণত এক বছরের নিচের শিশুদের দেখা যায়।
ভেরিকোস একজিমা : সাধারণত বয়স্ক লোকদের পায়ের নিচের অংশে এ একজিমা হতে দেখা যায়। ভেরিকোস একজিমা রক্ত পরিবহনে সমস্যা এবং উচ্চচাপের কারণে হয়ে থাকে।
ডিসকয়েড একজিমা: প্রাপ্তবয়স্ক যে কারোরই হতে পারে।

সাধারণত বয়স্কদেরই এটি বেশি হতে দেখা যায়। শুষ্ক ত্বক সংক্রমণের মাধ্যমে এটি হয়ে থাকে। এতে শরীরের যে কোনো অংশে, বিশেষ করে পায়ের নিচের অংশে গোলাকৃতি লাল, শুষ্ক এবং চুলকানির মতো হয়ে থাকে।
একজিমার চিকিৎসা
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন অথবা ব্যবহার করতে হবে। যেমন– অ্যান্টিবায়োটিক সেবন, অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন, স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার, হরমোনজাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। একজিমা জটিল আকার ধারণ করলে সুস্থ হতে সময় লাগে। এ জন্য অস্থির না হয়ে ধৈর্যসহকারে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
লেখক: চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ।




আর্কাইভ