গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম: কিছু তথ্য জেনে নিন

প্রথম পাতা » ফিচার » গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম: কিছু তথ্য জেনে নিন


ফাইল ছবি

অনাগত সন্তানের সুস্থতার জন্য চাই অন্তঃসত্ত্বা মায়ের সুস্থ শরীর। সুস্থতা থাকার জন্য ব্যায়ামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনেকের ধারণা, গর্ভাবস্থায় ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। এটা ঠিক নয়; বরং নতুন মায়েদের জন্য ব্যায়াম আরও বেশি প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় কিছু আসন, প্রাণায়াম ও ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ বমি বমি ভাব, গ্যাস্ট্রিক, পা ব্যথা, কোমর ব্যথা ও ইমোশনাল স্ট্রেস থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এ সময় শরীরে উৎপন্ন হয় রিলাক্সিন হরমোন, যা হাড়ের জোড়াগুলো নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। গর্ভকালীন শরীরে দেখা দেয় অস্বস্তি। তলপেট স্ফীত হয়ে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। এর ফলে গর্ভাবস্থায় বিঘ্নিত হয় রাতের ঘুম। সময়োপযোগী কিছু সঠিক ব্যায়ামের মাধ্যমে এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

যারা আগে নিয়মিত ব্যায়াম করতেন, গর্ভাবস্থায় তারা হালকা ব্যায়াম চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটা, অ্যারোবিক্স, হালকা যোগব্যায়াম ও জগিং এবং এমনকি সাইক্লিং করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত ১০ বার পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ, অর্থাৎ যোনিপথ ও মলমূত্র ত্যাগের রাস্তা সংকুচিত ও প্রসারিত করার অভ্যাস করা উচিত। এর ফলে জরায়ু ও পায়ুপথের সমস্যা কমবে। নতুন ব্যায়াম করলে প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে শুরু করবেন। তবে এক দিনে কখনোই ৩০ মিনিটের বেশি ব্যায়াম করবেন না। এমন কোনো সময় বা স্থানে ব্যায়াম করবেন না, যেখানে আপনি অধিক ঘর্মাক্ত হয়ে পড়বেন। সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করবেন। সুতির পোশাক পরবেন। খুব আঁটসাঁট পোশাক পরবেন না। ব্যায়ামের আগে এক গ্লাস পানি ও হালকা খাবার খেয়ে নেবেন। পানিশূন্যতা যেন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন। হঠাৎ মাথা ঘুরলে, দম বন্ধ ভাব হলে, বুকে বা মাথায় ব্যথা হলে ব্যায়াম করবেন না। বাচ্চার নড়াচড়া কম মনে হলে ব্যায়াম বন্ধ রাখবেন। মনে রাখবেন, ১৬ সপ্তাহের পর চিৎ হয়ে শুয়ে কোনো ব্যায়াম করবেন না। আর নিয়মিত ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
মনে রাখা জরুরি, কিছু বিশেষ সময়ে ব্যায়াম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এ সময়গুলো হলো—
• চিকিৎসকের নিষেধ থাকলে;
• উচ্চ রক্তচাপ থাকলে;
• জরায়ুপথে যে কোনো রক্তপাত হলে;
• গর্ভাশয় বা ফুল উল্টো থাকলে;
• আগে কয়েকবার গর্ভপাত হয়ে থাকলে;
• গর্ভে যমজ শিশু থাকলে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, বিএসএমএমইউ।




আর্কাইভ