বাংলার পৃথিবী ডেস্কঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ সঙ্গীত প্রকাশকের জোট। তাদের দাবি, প্ল্যাটফর্মটিতে প্রায় এক হাজার সাতশটি গানের কপিরাইট লঙ্ঘন হয়েছে।তাদের দাবি, প্ল্যাটফর্মটিতে প্রায় এক হাজার সাতশটি গানের কপিরাইট লঙ্ঘন হয়েছে।
‘ন্যাশনাল মিউজিক পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনএমপিএ)’-এর ক্ষতিপূরণ বাবদ দাবি করেছে ২৫ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিল শহরের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা মামলায় ‘এনএমপিএ’র অভিযোগ, টুইটার কপিরাইট লঙ্ঘনকারীদের প্রশ্রয় দেয় কারণ এতে তাদের আর্থিক লাভ হয়।
তারা আরও বলছে, মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের পর থেকে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
‘সনি মিউজিক পাবলিশিং’, ‘বিএমজি রাইটস ম্যানেজমেন্ট’ ও ‘ইউনিভার্সাল মিউজিক পাবলিশিং গ্রুপ’ রয়েছে বাদীদের দলে। তাদের অভিযোগ, টুইটার ‘প্রয়োজনীয় লাইসেন্সিং ফি পরিশোধ না করেই এইসব গান থেকে প্রচুর আয় করছে’।
কেবল তা-ই নয়, টিকটক, ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী, যারা সবাই মিউজিক লাইসেন্সের জন্য অর্থ পরিশোধ করে, তাদের তুলনায় টুইটার ‘অন্যায্য সুবিধা’ পাচ্ছে।
“টুইটার একমাত্র শীর্ষ সামাজিক মাধ্যম, যারা নিজস্ব পরিষেবায় থাকা লাখ লাখ গানের লাইসেন্স ফি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।” –বিবৃতিতে বলেন এনএমপিএ’র প্রেসিডেন্ট ডেভিড ইসরায়েলাইট।
এই প্রসঙ্গে বিবিসিকে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি টুইটার।
গত বছর চার হাজার চারশ কোটি ডলারে টুইটার কেনেন সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে নিজের অবস্থান ফিরে পাওয়া মাস্ক।
“২০২২ সালের অক্টোবরে টুইটারের মালিকানা বদলের পরও এই কপিরাইট সংশ্লিষ্ট সমস্যার কোনো উন্নতি ঘটেনি।” –বলেছে এনএমপিএ।
“এর বিপরীতে, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টুইটারের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি এখনও বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে।”
টুইটারের ‘কনটেন্ট রিভিউ’ ও ‘পরিষেবা লঙ্ঘন’ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলো থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের’ পাশাপাশি কোম্পানির সাবেক নিরাপত্তা প্রধান ইওয়েল রথ ও এলা আরউইনের পদত্যাগের বিষয়টিও উল্লেখ করেছে এনএমপিএ।
এনএমপিএ আরও অভিযোগ করেছে, নিয়মিত কপিরাইট লঙ্ঘন করেন এমন ব্যক্তি এবং নিয়মিত কপিরাইট লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে এমন সুপরিচিত আইটেমের বিষয় টুইটার জেনেশুনে এড়িয়ে যায়’।
এই মাসের শুরুতে মিডিয়া জায়ান্ট ‘এনবিসি ইউনিভার্সাল’-এর সাবেক বিজ্ঞাপন প্রধান লিন্ডা ইয়াকারিনো টুইটারের নতুন প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন।
তিনি প্ল্যাটফর্মটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, যেখান থেকে অর্থ উপার্জনে ‘কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে’ কোম্পানিটির।
মাস্কের টুইটার কেনার পর থেকে কোম্পানির ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল প্ল্যাটফর্মে নিপীড়ন শনাক্তে কাজ করা দলটিও। এর পাশাপাশি, কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার ধরনও বদলেছে।