সুস্থ থাকুন রোজায়

প্রথম পাতা » ফিচার » সুস্থ থাকুন রোজায়


সুস্থ থাকুন রোজায়

রোজায় ইবাদতের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। এ জন্য সুষম খাবারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

সারাদিন রোজা রাখার কারণে অনেকেরই ডিহাইড্রেশন এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার মাথাব্যথা, ক্লান্তিও দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ উপায়ে রোজা রাখতে কিছু বিষয় জেনে রাখুন।
সেহরি এড়াবেন না
সকালের নাশতা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। রমজানের সময় এটি আরও বেশি করে মানতে হবে। ঘুমের কারণে সেহরি এড়িয়ে যাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সেহরি এড়িয়ে যাওয়া উপবাসের সময়কে দীর্ঘায়িত করে। যার অর্থ হলো, আপনার শরীরকে ইফতার পর্যন্ত সব শক্তি সরবরাহ করার জন্য পূর্ববর্তী খাবারের ওপর নির্ভর করতে হবে। দীর্ঘ সময় উপবাসের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা এবং কম গ্লুকোজের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেহরি বাদ দিলে ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
সেহরি বাদ দেওয়া যেমন ঠিক নয়, তেমনি রোজা ভাঙার সময় অতিরিক্ত খাওয়া আপনার শরীরে ক্ষতি করতে পারে। ইফতার হওয়া উচিত সুষম, পুষ্টিকর খাবারে পূর্ণ।
অতিরিক্ত এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খেলে বদহজম হতে পারে। ওজনও বেড়ে যেতে পারে। এ ধরনের খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তদের জন্য ক্ষতিকর।
ভাজা, লবণযুক্ত ও উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
রোজাদার ব্যক্তিরা অনেক সময় চর্বিযুক্ত, ভাজা ও চিনিযুক্ত খাবার খান। এতে ওজন বৃদ্ধি ছাড়াও বদহজম হতে পারে। এ ছাড়া আপনার লবণ খাওয়া সীমিত করা উচিত। যতটা সম্ভব রোজায় খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজির পাশাপাশি ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
সেহরির সময় এবং ইফতারের পরে যতটা সম্ভব পানি পান রোজদার ব্যক্তির পানিশূন্যতার ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন সেহরির সময় এবং সূর্যাস্তের পরে অন্তত আট গ্লাস তরল পান করার চেষ্টা করুন। পানির পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় জুস, দুধ ও স্যুপ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কফি, চা ও কৃত্রিম পানীয় পান সীমিত করুন।
যারা ডায়াবেটিস, পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক আলসার, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছেন এবং একাধিকবার ওষুধ সেবন করছেন, তারা রোজা সঠিকভাবে আদায়ের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিলে ভালো হয়।
লেখক : সহকারী রেজিস্ট্রার (মেডিসিন), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর।




আর্কাইভ