বমি বমি ভাব কাটাতে গর্ভাবস্থায় করণীয়

প্রথম পাতা » ফিচার » বমি বমি ভাব কাটাতে গর্ভাবস্থায় করণীয়


ফাইল ছবি

গর্ভাবস্থায় নারীজীবনের সবচেয়ে আরাধ্য সময়ের একটি। এ সময় একজন নারীর জীবনযাত্রা, শরীরের গড়নসহ সবকিছুতেই পরিবর্তন আসে। এ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে মাকে অনেক ধরনের অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এ অস্বস্তি শুধু শারীরিক গড়ন নয়, তা খাবার-দাবার থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি বিষয় নিয়েই হতে পারে। গর্ভধারণের পর থেকেই নিজের এবং গর্ভের সন্তানের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মা ও সন্তান উভয়ের জন্যই একান্ত প্রয়োজনীয়।
গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে খাদ্য তালিকায় ফলিক এসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, জিংক, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এসব পুষ্টি উপাদান ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে এবং অনাগত সন্তানের বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি রোধে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই মায়ের খাবারের রুচিতে পরিবর্তন আসে। অনেকের বমি বমি ভাব হয়, সকালে কিছুই খেতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে তরমুজ আপনাকে দিতে পারে কিছুটা ভালো স্বাদের সন্ধান। গরমের সময় তো বটেই, এখন বছরের বেশ খানিকটা সময়জুড়েই পাওয়া যায় এ ফল।
হালকা লবণ তরমুজের ওপর ছিটিয়ে দিয়ে খেলে গর্ভবতী মা ভালো স্বাদ পেতে পারেন। গর্ভকালে ঘুম কিংবা শুয়ে থাকার সময় মা কিছুতেই স্বস্তি বোধ করেন না। তলপেটের দিকে বাড়তি নজর রাখতে হয় বলে শুয়েও আরাম পান না কিছুতেই। চাদর কিংবা হালকা কাথা দিয়ে একটু জায়গা নিয়ে বালিশের মতো বানিয়ে নিতে পারেন। শোয়ার সময় এটি কিছুটা আরাম দিতে সক্ষম। সবসময় শুয়ে-বসে থাকলে তা মায়ের শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। একটু হাঁটাচলা শরীরে নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। এ সময় দইয়ের স্বাদ মায়ের মুখে রুচি ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
একজন অন্তঃসত্ত্বার উচিত প্রতিদিন কিছুটা দই খাওয়া, যা তার শরীরে পুষ্টি প্রদানের পাশাপাশি রুচিবর্ধক হিসেবেও কাজ করে। স্বাদ ও রুচির পরিবর্তনের ফলে এবং বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের মাধ্যমে মায়ের মুখে পানির স্বাদেও পরিবর্তন আসতে পারে। অনেকে প্রয়োজনীয় পানিও এ কারণে পান করতে পারেন না। তাই পানির সঙ্গে হালকা লেবু মিশিয়ে খেলে এ সমস্যা দূর হবে। এ ছাড়া কোনো সমস্যা অনুভব করলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন এবং ওষুধ সেবন করুন।
লেখক: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক




আর্কাইভ